শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশের বিভিন্ন এলাকার বানভাসি মানুষদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সরকার পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে চলে এসেছে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এটি কম্পাইল করছি। সংবাদ সম্মেলন করে কোন জায়গায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি জানাতে পারব। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে একটি তড়িৎ উদ্যোগ নেব। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য, চাল, টিন, গৃহনির্মাণ সামগ্রী রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ১২ই জুলাই ২০২২ইং তারিখ দুপুরের দিকে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।
এনামুর রহমান বলেন- বানভাসি মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য আমরা পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দিয়েছি। নগদ অর্থ সহায়তাও দিয়েছি। ঈদ উপলক্ষে আমরা নগদ দুই কোটি টাকা দিয়েছি, এক হাজার মেট্রিক টন চাল দিয়েছি, চার হাজার বান্ডেল টিন দিয়েছি, এক কোটি ২০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ মজুরি বাবদ দিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, অতিরিক্ত কিছু লাগলে সেটি চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ দেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জে যখন বন্যা চলছিল আমাদের জিআর নগদ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমরা ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম তিনি পরদিন ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ হাজার ৫০০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জে।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে এনামুর রহমান বলেন- আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্টগুলো এসেছে। এগুলো কম্পাইল না করে সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে না। ত্রাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, নগদ অর্থ আছে, কাপড়, টিনসহ সবকিছুই আছে। যে পরিমাণ প্রয়োজন হবে সে পরিমাণ ত্রাণ দেওয়ার সক্ষমতা আছে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।